যথাযোগ্য মর্যাদা ও গভীর শ্রদ্ধা ভালোবাসায় সদ্যপ্রয়াত বিশিষ্ট লেখক, গবেষক ও সাংবাদিক সৈয়দ আবুল মকসুদ এবং বিশিষ্ট ব্যাংকার খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়।
ভাসানী চর্চা কেন্দ্র, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্যোগে শনিবার বেলা ১১টার দিকে স্থানীয় শহিদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্মৃতি পাঠাগারে এ সভা হয়।
ভাসানী চর্চা কেন্দ্রের সংগঠক সাংবাদিক আবদুন নূরের সভাপতিত্বে শোকসভায় বক্তব্য রাখেন জাসদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হোসাইন আহমেদ তফছির, জেলা জাসদ সভাপতি আখতার হোসেন সাঈদ, জেলা জেএসডির সাধারণ সম্পাদক তৈমুর রেজা মো. শাহজাদ, জেলা বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রদ্যোৎ নাগ, তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির জেলা শাখার সদস্য সচিব মো. নাসির, কৃষক ও খেতমজুর সমিতির জেলা আহ্বায়ক হাজী আবদুস সোবহান মাখন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী, জেলা যুব জোটের আহ্বায়ক সিদ্দিক আহমেদ নাসির, জেলা ছাত্র মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক সানিউর রহমান সানিসসহ আরও অনেকে।
সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভাসানী চর্চা কেন্দ্রের সংগঠক আবুল খায়ের।
ভাসানী চর্চা কেন্দ্রের সংগঠক সাংবাদিক আবদুন নূর বলেন, ‘সৈয়দ আবুল মকসুদ সারা জীবন তার লেখনির মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক সমতাভিত্তিক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে গেছেন। তিনি তার গবেষণা কর্মের মাঝেই বেঁচে থাকবেন। মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য তিনি বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) লোভনীয় চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন।
‘সাম্রাজ্যবাদের বিরোধিতা করতে গিয়ে তিনি সেলাইবিহীন সাদা পোশাক পরিধান করে গেছেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিরুদ্ধেও তিনি তার মতামত অকপটে তুলে ধরেছিলেন।’
ব্যাংকার ইব্রাহিম খালেদ সম্পর্কে হোসাইন আহমেদ তফছির বলেন, ‘খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ ব্যাংকিং খাতের বিভিন্ন অনিয়ম অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে আজীবন সোচ্চার ছিলেন। সরকারি দলের সমর্থক হয়েও ব্যাংকিং খাতের অনিয়মের ক্ষেত্রে সরকারের সমালোচনা করতেও ইব্রাহিম খালেদ কুণ্ঠাবোধ করেননি।
‘ব্যাংকিং খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য উচ্চকণ্ঠ এ মানুষটিকে জনসাধারণ কোনোদিনই ভুলবে না।’
সভার শুরুতেই সৈয়দ আবুল মকসুদ ও খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।